গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার

প্রকাশঃ জুন ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ২:৩১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৩১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

hannan picবর্তমান সরকার নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘সংবাদ পত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ তোলেন। এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল।

হান্নান শাহ্ বলেন, ১৯৭৫ সালে বাকশাল সরকার আইন করে সংবাদপত্র বন্ধ করেছিল, আর বর্তমান ক্ষমতাসীনরা হুমকি-ধমকি দিয়ে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু তাই নয়, তারা আইন করে না হলেও পরোক্ষভাবে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে জাতির বিবেককে দাবিয়ে রাখতে চায়।

তিনি বলেন, পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ণ করেছেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা। বাকশাল সরকারের অনেকে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। তাদের বাকশালের সেই ধারা এখনও আছে। যারা একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা সংবাদপত্র দাবিয়ে রাখতে চায়। তারা জানে কুকীর্তি ফাঁস হয়ে গেলে তাদের ফাঁসি হয়ে যেতে পারে। তাই তাদের টার্গেট গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এতোদিন হয়ে গেল, সাগর-রুনির হত্যার বিচার হয়নি। বিচারতো দূরে থাক, হত্যাকারীরা আজও ধরাও পড়েনি। হত্যাকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের সখ্য রয়েছে বলেও এসময় অভিযোগ তোলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

প্রেসক্লাবের চলমান বিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে প্রেসক্লাবে দেওয়াল তুলে দিতে চান। সাংবাদিকদের ঐক্য ভেঙে দিতে চান। তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জাতীয় প্রেসক্লাবের জায়গা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দিয়ে গেছেন। এখন অনেকে তার নাম শুনতে পারেন না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন বাকশাল সরকার সমর্থিত চারটি পত্রিকা ছাড়া দেশের সবক’টি পত্রিকা প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশের সচেতন মহল ও সংবাদপত্রের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদকর্মী চাকরি হারিয়েছিলেন। সেটা জাতীর জন্য কালো দিবস শুধু নয়, কলঙ্কও বটে। জিয়াউর রহমান সংবিধানে এদেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করে বাকশাল সরকারের সব ধরনের অগণতান্ত্রিক কালো ধারা বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন।

ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মাদ ইব্রাহীম (বীর প্রতীক), দৈনিক নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন প্রমুখ।

প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G